Header Ads

Header ADS

এক নজরে বিশ্বের বড় বড় বিমান দুর্ঘটনা

 


বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। ইতিহাসে এমন কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা পৃথিবীজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছিল। এসব দুর্ঘটনা শুধু মৃত্যুর সংখ্যা নয়, বরং এর পেছনের করুণ কাহিনীও মানুষকে আলোড়িত করেছে। এমন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিচে তুলে ধরা হলো:

● ৮ মার্চ ২০১৪ – মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী যাত্রাপথে হঠাৎ করে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। onboard ছিলেন ২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রু। বিমানটির কোনো চিহ্ন আজও সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করা যায়নি। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যজনক বিমান নিখোঁজের ঘটনা।

● ১৭ জুলাই ২০১৪ – ইউক্রেন

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের আরেকটি ফ্লাইট এমএইচ১৭ ইউক্রেনের আকাশসীমায় রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়। আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী এ ফ্লাইটে থাকা ২৯৮ জন যাত্রী ও ক্রু সবাই নিহত হন।

● ৩১ অক্টোবর ২০১৫ – মিশর

রাশিয়ার কোগালিমাভিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান মিশরের সিনাই উপত্যকায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ২২৪ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন, সকলেই নিহত হন। ধারণা করা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় এটি ধ্বংস হয়।

● ২৪ মার্চ ২০১৫ – ফ্রান্স

জার্মানউইংস ফ্লাইট ৯৫২৫ বার্সেলোনা থেকে ডুসেলডর্ফগামী ছিল। কো-পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি ফ্রান্সের আল্পস পর্বতে ক্র্যাশ করান। এতে বিমানে থাকা ১৫০ জন যাত্রী ও ক্রু সবাই নিহত হন।

● ২২ মে ২০২০ – পাকিস্তান

পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে ৯৭ জন নিহত হন, মাত্র ২ জন যাত্রী বেঁচে যান।

● ২৯ ডিসেম্বর ২০০২ – কোরিয়া

কোরিয়ান এয়ার ফ্লাইট ৮০১ গুয়ামে অবতরণকালে একটি পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খায়। এতে ২২৮ জনের মধ্যে ২২৮ জনই প্রাণ হারান।

● ৬ আগস্ট ২০০৫ – ভেনিজুয়েলা

ওয়েস্ট ক্যারিবিয়ান এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ৭০১ বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা ভেনিজুয়েলার জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ১৬০ জন যাত্রী ও ক্রুর কেউ বেঁচে ছিলেন না।

● ১০ এপ্রিল ২০১০ – পোল্যান্ড

পোল্যান্ডের বিমান বাহিনীর একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্টসহ ৯৬ জন যাত্রী প্রাণ হারান। তদন্তে দেখা যায়, দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল পাইলটের ভুল সিদ্ধান্ত।

● ২৫ মে ২০০২ – তাইওয়ান

তাইওয়ান থেকে হংকংগামী চায়না এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৬১১ মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়ে। এতে বিমানের ২২৫ জন যাত্রীর কেউই বেঁচে ফেরেননি।

● ২১ ডিসেম্বর ১৯৮৮ – স্কটল্যান্ড

প্যান-এম ফ্লাইট ১০৩-এর বোয়িং ৭৪৭ বিমানটি লন্ডন থেকে নিউইয়র্কগামী ছিল। লকারবি শহরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় এটি বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৫৯ জন যাত্রী ও ১১ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হন।

● ১২ নভেম্বর ১৯৯৬ – ভারত

নয়াদিল্লির আকাশে সৌদি ও কাজাখস্তানের দুটি বিমান মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ৩৪৯ জন নিহত হন। এটি ছিল বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ বিমানের সংঘর্ষ।

● ১৭ জুলাই ১৯৯৬ – যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্ক থেকে উড্ডয়নের কিছু পরই ট্রান্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে বিস্ফোরণ ঘটে। বিমানটি আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হলে ২৩০ জনের সবাই নিহত হন।

● ১১ জুলাই ১৯৯১ – সৌদি আরব

জেদ্দা থেকে উড্ডয়নের পরপরই নাইজেরিয়ান এয়ারওয়েজের ডিসি-৮ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ২৬১ জন যাত্রী ও ক্রু প্রাণ হারান।

● ২৬ মে ১৯৯১ – থাইল্যান্ড

লডা এয়ারের বোয়িং ৭৬৭ বিমানটি উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় আকাশেই বিকল হয়ে পড়ে। ব্যাংককের কাছে দুর্ঘটনায় ২২৩ জন নিহত হন।

● ১২ আগস্ট ১৯৮৫ – জাপান

জাপান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান টোকিও থেকে উড্ডয়নের পর পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। প্রাণ হারান ৫২০ জন। অবিশ্বাস্যভাবে মাত্র ৪ জন যাত্রী বেঁচে যান। এটি একক বাণিজ্যিক বিমানে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।

● ২৮ নভেম্বর ১৯৭৯ – অ্যান্টার্কটিকা

নিউজিল্যান্ডের ডিসি-১০ বিমানটি অ্যান্টার্কটিকার ওপর দিয়ে ওড়ার সময় একটি পর্বতের সাথে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৫৭ জনের সবাই নিহত হন।

● ২৫ মে ১৯৭৯ – যুক্তরাষ্ট্র

শিকাগোর ও’হেয়ার বিমানবন্দরে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ডিসি-১০ বিমানটি উড্ডয়নের সময় ইঞ্জিন খুলে পড়ে যায়। ফলে ২৭৩ জন নিহত হন। এটি ছিল মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।

● ২৭ মার্চ ১৯৭৭ – স্পেন

স্পেনের টেনেরিফে বিমানবন্দরে কেএলএম ও প্যান-অ্যাম এয়ারলাইন্সের দুটি বোয়িং-৭৪৭ বিমান রানওয়েতে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দুই বিমানের ৫৮৩ জনই প্রাণ হারান। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা।

● ৩ মার্চ ১৯৭৪ – ফ্রান্স

টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ডিসি-১০ বিমানটি প্যারিস থেকে উড্ডয়নের কিছু পরেই বিধ্বস্ত হয়। ৩৪৬ জন যাত্রী ও ক্রুর সবাই প্রাণ হারান।

কোন মন্তব্য নেই

PLAINVIEW থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.