ফেলনা নয়, ধন-ভাণ্ডার: আম আঁটির অসাধারণ গুণ
গ্রীষ্ম এলেই চলে আসে পাকা আমের মৌসুম। কেউ গ্রামের বাড়ি থেকে বস্তাভর্তি আম নিয়ে আসেন, কেউবা বাজার থেকে কিনে আনেন ব্যাগভর্তি সোনালী ফল। ঘরে ফিরে যখন আয়েশ করে খাওয়া হয় সেই সুস্বাদু আম, তখন আঁটিটা যেন একেবারে অবহেলিত। অথচ এই ছোট্ট আঁটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে একগুচ্ছ স্বাস্থ্যকর গুণ!
জেনে নিন আম আঁটির নানা উপকারিতা—
🦷 দাঁতের যত্নে
আম আঁটির শক্ত খোলস ছাড়িয়ে ভেতরের সাদা অংশ শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। টুথপাউডারের মতো ব্যবহার করুন। দাঁত থাকবে মজবুত ও সুস্থ।
💇♀️ খুশকি ও চুল পড়া রোধে
আঁটির সাদা অংশ থেকে তৈরি করুন মাখন। সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। খুশকি, চুল পড়া এমনকি অ্যালোপেসিয়ার সমস্যায় উপকার মিলবে।
💩 ডায়েরিয়া নিরাময়ে
শুকনো আঁটির গুঁড়া ১-২ গ্রাম মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করুন। পাতলা পায়খানার সমস্যা কমে যাবে।
⚖️ ওজন নিয়ন্ত্রণে
আম আঁটির নির্যাস মেটাবলিজম বাড়ায় ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
❤️ হৃদরোগ প্রতিরোধে
নিয়মিত আম আঁটির নির্যাস খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
💆♀️ চুলের সৌন্দর্যে
আঁটির শক্ত অংশ সরিয়ে তা নারকেল, অলিভ বা সরিষার তেলে ডুবিয়ে কয়েক সপ্তাহ রোদে রাখুন। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল হবে ঘন, কালো ও উজ্জ্বল।
🧴 ত্বকের যত্নে
আম আঁটির তেল প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ত্বক রাখে কোমল ও টানটান।
👄 ঠোঁটের যত্নে
রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে আঁটির ঘি লাগান। এটি প্রাকৃতিক লিপ বাম হিসেবে কাজ করে। ঠোঁট থাকবে নরম ও আর্দ্র।
😌 ব্রণ দূর করতে
আম আঁটির গুঁড়া টমেটোর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ব্রণ কমাবে, মৃত কোষ দূর করবে এবং ব্ল্যাকহেডস হ্রাস করবে।
🍽️ হজমে সহায়ক
শুকনো আম আঁটিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অ্যাসিডিটি কমিয়ে হজমশক্তি বাড়ায়।
শেষ কথা
যে জিনিসটা এতদিন ডাস্টবিনে ফেলা হতো, সেটাই হতে পারে ঘরোয়া উপায়ে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার এক দারুণ উপাদান। এবার থেকে আম খাওয়ার পর আঁটি ফেলার আগে ভাবুন আরেকবার!
কোন মন্তব্য নেই