ফরমালিনযুক্ত আম চিনবেন কীভাবে?
গ্রীষ্ম এলেই বাজারে ভরপুর থাকে নানা জাতের আম। ইফতারির টেবিল হোক বা সারা দিনের ফলের তালিকা—আম সবার পছন্দের শীর্ষে। কিন্তু এই মধুর ফলটি এখন অনেক ক্ষেত্রেই বিষে পরিণত হচ্ছে, কারণ বেশিরভাগ আমেই ব্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন ও অন্যান্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল।
ফরমালিনযুক্ত আম খাওয়ার ফলে কিডনি, লিভার ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি, বিকলাঙ্গতা, এমনকি ক্যানসারের মতো ভয়ানক রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তাই আম কেনার আগে কিছু লক্ষণ দেখে বোঝার চেষ্টা করা উচিত—এই আমটি প্রাকৃতিকভাবে পাকা, নাকি রাসায়নিক দিয়ে পাকানো। নিচে কয়েকটি সহজ উপায় দেওয়া হলো—
🔸 রঙ দেখে চিনুন
প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমে হলুদ ও সবুজের মিশ্র রঙ থাকে। কখনো কাঁচাপাকা ভাবও দেখা যায়। গায়ে হালকা সাদাটে ভাব কিংবা কালো দাগও থাকতে পারে।
কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আম দেখতে হবে অস্বাভাবিকভাবে চকচকে, নিখুঁত হলুদ, এবং একদম দাগহীন।
🔸 ভেতরের শাঁস
প্রাকৃতিক আম কাটলে ভেতরে দেখা যাবে লালচে হলুদ শাঁস।
আর রাসায়নিকযুক্ত আমের শাঁস হবে হালকা বা গাঢ় হলুদ, যেটা দেখে বোঝা যায়—বাইরে পাকা, কিন্তু ভেতরটা কাঁচা।
🔸 রস
সাধারণত পাকা আমে থাকবে প্রাকৃতিক মিষ্টি রস।
কিন্তু ফরমালিনযুক্ত আম হবে রসহীন বা কম রসালো, মুখে দিলে খটখটে লাগবে।
🔸 গন্ধ
প্রাকৃতিক আমের বোটায় থাকবে মিষ্টি ঘ্রাণ।
ফরমালিনযুক্ত আমে সাধারণত কোনো ঘ্রাণই থাকে না। তাই কেনার সময় আমের বোঁটায় নাক দিন—ঘ্রাণ আছে কি না দেখে নিন।
🔸 স্বাদ
স্বাদেও থাকে বড় পার্থক্য। প্রাকৃতিক আমে থাকবে টক-মিষ্টি স্বাদ, আর এই আমে মাছিও বসবে।
কিন্তু রাসায়নিকযুক্ত আমে ম্লান বা তিক্ত স্বাদ থাকবে, এবং মাছি বসবে না। কারও কারও মুখে জ্বালাপোড়া, গলা ব্যথা, পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হতে পারে।
সতর্ক থাকুন, সচেতন হোন
স্বাস্থ্যই জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই আম কিনতে গেলে চোখ-কান খোলা রাখুন। যতটা সম্ভব স্থানীয় উৎস থেকে বা পরিচিত উৎস থেকে আম কিনুন এবং ভালো করে ধুয়ে তবেই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কোন মন্তব্য নেই