পেয়ারার ঔষধি ও পুষ্টিগুণ
ইংরেজি নাম : Guava
বৈজ্ঞানিক নাম : Psidium guajava
জাত
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত জাতগুলো হলো কাজী পেয়ারা, বারি পেয়ারা-২, বারি পেয়ারা-৩ (লাল শাঁশ) । বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত জাত গুলো হলো- বাউপেয়ারা-১, বাউপেয়ারা-২, বাউপেয়ারা-৩, বাউপেয়ারা-৪, বাউপেয়ারা-৫, বাউপেয়ারা-৬, বাউপেয়ারা-৭, বাউপেয়ারা-৮, বাউপেয়ারা-৯ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত জাত হলো- ইপসাপেয়ারা । এসব জাতের পাশাপাশি অন্যান্য জনপ্রিয় জাতগুলো হলো স্বরূপকাঠি, কাঞ্চন নগর ও মুকুন্দপুরী ।
পুষ্টিগুণ
প্রচুর ভিটামিন 'সি' রয়েছে। বহুবিধ গুণের কারণে পেয়ারাকে মিসরীয় অঞ্চলের আপেল বলা হয় ।
ঔষধিগুণ
শিকড়, গাছের বাকল, পাতা এবং অপরিপক্ক ফল কলেরা, আমাশয় ও অন্যান্য পেটের পীড়া নিরাময়ে ভালো কাজ করে । ক্ষত বা ঘাতে থেঁতলানো পাতার প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায় । পেয়ারার কচিপাতা চিবালে দাঁতের ব্যথা উপশম হয় ।
উৎপাদন এলাকা
বাংলাদেশের সর্বত্র উৎপাদন হয় । তবে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, গাজীপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বি.বাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি জেলা উল্লেখযোগ্য ।
ব্যবহার
টাটকা ফল হিসেবে খাওয়া ছাড়াও প্রক্রিয়াজতকরণের মাধ্যমে পেয়ারা থেকে জ্যাম, জেলি ও জুস তৈরি করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই