সোনা নিয়ে মজার কিছু তথ্য
সোনা বরাবরই মানুষকে মুগ্ধ করে রেখেছে। তবে এই চকচকে ধাতু সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য আছে, যা অনেকেই জানেন না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সোনাকে ঘিরে কিছু মজার এবং বিস্ময়কর তথ্য।
- অলিম্পিক স্বর্ণপদকের আসল গল্প:অলিম্পিক গেমসের যে স্বর্ণপদক আমরা দেখি, সেটি কিন্তু পুরোপুরি সোনার নয়। এতে মাত্র ১% সোনা থাকে। বাকি পদকটি তৈরি হয় ৯২% রুপা এবং ৬% তামা দিয়ে। ১৯১২ সালের পর থেকে আর পুরো সোনার পদক দেওয়া হয়নি।
- মোবাইল ফোনে সোনা:মোবাইল ফোনের সার্কিটেও সোনা থাকে, যদিও তা খুব অল্প পরিমাণ। মজার ব্যাপার হলো, ৯০০ কেজি পুরোনো মোবাইল ফোন থেকে যতটুকু সোনা পাওয়া যাবে, তার চেয়ে একটি সোনার আকরিক থেকেই বেশি সোনা পাওয়া সম্ভব।
- সাগরের তলায় সোনা:পৃথিবীর সব সাগরে ছড়িয়ে থাকা সোনা যদি আমরা তুলতে পারতাম, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের হাতে প্রায় ৪ কেজি করে সোনা থাকত।
- জৈবিকভাবে সোনা:সোনা এক ধরনের জৈবিক জড় পদার্থ। এটি সহজেই আমাদের পরিপাক নালী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, কিন্তু হজম হওয়ার কোনো উপায় নেই।
- অরোফোবিয়া:কিছু মানুষ সোনার প্রতি এক ধরনের অমূলক ভয় বা অস্বস্তি অনুভব করেন। এই মানসিক অবস্থাকে বলে অরোফোবিয়া। তাদের বিশ্বাস, সোনার সংস্পর্শে এলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে।
- সোনার এটিএম:দুবাইয়ের এমিরেটস প্যালেস হোটেলে এমন একটি এটিএম রয়েছে, যা টাকা দিলে বিনিময়ে সোনার বার বা কয়েন দেয়। সত্যিই বিলাসিতার এক অন্যরকম উদাহরণ!
- নাবিকদের সোনার দুল:ইউরোপের নাবিকরা ফ্যাশনের জন্য নয়, বরং একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে কানে সোনার দুল পরতেন। যদি কোনো কারণে তাদের জাহাজডুবি হয় এবং মৃতদেহ কেউ খুঁজে পায়, তাহলে সেই দুলটি বিক্রি করে সৎকারের খরচ মেটানো হতো।
সোনার গল্প সব সময়ই মুগ্ধতার। বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং সংস্কৃতিতে সোনার উপস্থিতি যেন আমাদের জীবনের অমূল্য এক অংশ।
কোন মন্তব্য নেই